মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করুন মাত্র ৫ মিনিটে
মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করা বর্তমানে খুবই সহজ একটি উপায়। আপনার মোবাইল নাম্বার দিয়েই আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও আরো অনেক ধরনের উপায় রয়েছে ভোটার আইডি কার্ড বের করার জন্য।
আমাদের অনেকেরই ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গিয়েছে এবং সেক্ষেত্রে কিভাবে আইডি কার্ডটি তুলবো সে ব্যাপারে অবগত নই। জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধানের জন্য মোবাইল নাম্বার কতটা উপযোগী আজকের আর্টিকেলে আমরা সে বিষয়ে আলোচনা করব।
আজকের পোস্ট পড়ে আপনি যা যা জানতে পারবেনঃ
- মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড বের করার উপায়
- কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ
- অনলাইনে মোবাইল নাম্বার প্রদানের সাহায্যে ভোটার আইডি কার্ডের খোঁজ
- ভোটার আইডি কার্ড বা NID কার্ড এর পরিচিতি
- সরাসরি বাংলালিংক নাম্বার থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করার উপায়
- মোবাইল দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বিষয়ে কিছু প্রশ্ন
- নির্বাচন অফিসে গিয়ে মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ
- ফরম নাম্বার দিয়ে আইডি বের করার নিয়ম
- ভোটার আইডি নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করার উপায়
- ভোটার আইডি কার্ড বিষয়ক কিছু প্রশ্ন
- মোবাইল দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার বিষয়ে লেখক এর মন্তব্য
মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড বের করার উপায়
কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় আমাদের কোন কারনে ভোটার আইডি কার্ড বা এনআইডি কার্ড হারিয়ে গিয়েছে। তাই সেই মুহূর্তে যদি আমরা ভোটার আইডি কার্ড রেজিস্টার কি তোর নাম্বার দিয়ে খুঁজি তাহলে অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বারটি পেয়ে যাব। কিন্তু এখানে ফোন নাম্বার ছাড়াও আরো বেশ কিছু তথ্য দিতে হয়। যেমন আপনার জন্মতারিখ ঠিকানা ফোন নাম্বার ইত্যাদি।
আর বর্তমানে আমাদের যেসব সিম কোম্পানি গুলো রয়েছে সেগুলো প্রত্যেকটাতেই সিম তুলতে গেলে রেজিস্টার করতে হয়। আর এই রেজিস্ট্রেশনটা আইডি কার্ড দিয়ে সম্পন্ন করা হয়। তাই কোন কারনে ভোটার আইডি কার্ডটি হারিয়ে গেলে সরাসরি ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বারটি বের করার জন্য আমরা ফোন নাম্বারের সাহায্য নিতে পারি।
তবে অবশ্যই নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করার জন্য ওই মোবাইল নাম্বারটি আপনি যেই এনআইডি কার্ড টি খুজছেন ওই এনআইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্টার করা থাকতে হবে।
মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করার একটি সহজ উপায় হচ্ছে এসএমএসের মাধ্যম। মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে আপনি আপনার এসএমএস অপশনে গিয়ে সহজেই বেশ কিছু তথ্য সহ আপনার ভোটার আইডি কার্ড বের করতে পারবেন।
- প্রথমেই মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ অপশন অন করতে হবে।
- এরপর এসএমএস টি লেখা শুরু করতে হবে।
- এসএমএসটি শুরু হবে বড় হাতের এস সি এরপর স্পেস দিয়ে এফ এরপর আরো একটি স্পেস এবং এরপর ভোটার আইডি কার্ড নাম্বারটি দিবেন এরপর আবার একটি স্পেস দিয়ে ডি লিখবেন এরপর আপনার জন্ম সাল দিবেন।
- এভাবে মেসেজটি লিখে আপনি ওয়ান জিরো ফাইভ এই নাম্বারটিতে আরে এসএমএসটি পাঠিয়ে দিবেন।
- এই এসএমএসটি আপনি যেকোনো ফোন নাম্বার এর সাহায্যেই পাঠাতে পারেন।
মূলত এভাবেই সহজ উপায়ে মোবাইল দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করা যায়। তবে মোবাইল দিয়ে কয়েকভাবে ভোটার আইডি কার্ড বের করা সম্ভব। নিচে সেসব বিষয়েও বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হচ্ছে। আপনাদের যেটা সুবিধা আপনারা সেই ধরনের অপশন নিয়েই ভোটার আইডি কার্ড তুলতে পারবেন।
কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ
যারা মোবাইল এস এম এস এর মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড বের করার বিষয়টা বুঝতে পারছেন না তারা একটু কষ্ট করে যদি কাস্টমার কেয়ারে যান তবে অবশ্যই তার আইডি কার্ড বিষয়ক তথ্য পেয়ে যাবেন।
এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সিম কোম্পানির কাস্টমার কেয়ারে আপনাকে অবশ্যই যেতে হবে। এবং সেই সিমটি অবশ্যই ওই এন আই ডি কার্ড এর দ্বারা রেজিস্টার করা থাকতে হবে। এবং এখান থেকে আপনি আপনার এনআইডি কার্ডের নাম্বারটি সংগ্রহ করতে পারবেন কিন্তু আপনি এনআইডি কার্ডটি সংগ্রহ করতে পারবেন না।
- প্রথম ধাপে আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট সিম কোম্পানিতে খুজে বের করতে হবে।
- এরপর আপনি কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস এর প্রতিনিধিদের কাছে গিয়ে আপনার রেজিস্টার কৃত কার্ডের নাম্বারটি চাইতে পারবেন।
- যেহেতু এনআইডি কার্ড খুবই ব্যক্তিগত এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি কার্ড তাই এই কার্ডটি চাইলেই আপনি সহজে পাবেন না। আপনাকে এখানেও কার্ডের সাথে বেশ কিছু তথ্য দিয়ে প্রমাণিত করতে হবে যে এই এনআইডি কার্ডটি আপনার।
- এবং এরপর আপনাকে এনআইডি কার্ডের নাম্বারটি দিতে পারবে।
- যেহেতু এখান থেকে আপনি আপনার আইডি কার্ডটি বের করতে পারবেন না তবে আপনি এই এনআইডি কার্ডের নাম্বারটি নিয়েই পরবর্তীতে এনআইডি কার্ড বের করতে পারবেন।
অনলাইনে মোবাইল নাম্বার প্রদানের সাহায্যে ভোটার আইডি কার্ডের খোঁজ
মোবাইল দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার সবচেয়ে সেরা উপায় হচ্ছে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ডটি বের করার আবেদন করা। মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আপনি এই অ্যাপ্লিকেশনটি করতে পারবেন। জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধানের জন্য এটি খুবই কার্যকর একটি উপায়।
- প্রথমে আপনাকে মোবাইল দিয়ে ব্রাউজিং করতে হবে। যেন আপনি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে যেতে পারেন।
- এরপর আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটিতে যেতে হবে।
- ওয়েবসাইটে গেলে আপনি দেখতে পারবেন এখানে আপনাকে একটি জায়গায় রেজিস্ট্রেশন করার জন্য কোন অনুমতি দিতে বলা হচ্ছে। এবং আপনি এই অপশনে ক্লিক করবেন।
- তবে আপনার যদি আগে থেকে লগইন করা না থাকে তবে অবশ্যই এই ওয়েবসাইটে আপনাকে আগে করে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে।
- এরপর আপনি পরবর্তী ধাপে যেতে পারবেন।
- এরপর আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র জন্য আবেদন করতে বলা হবে। আবেদনের জন্য বেশ কিছু তথ্য প্রয়োজন। যেমন জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার, জন্ম তারিখ, এবং কোডিং করে আপনাকে আবেদনটি সম্পূর্ণ করতে হবে।
- তথ্যগুলো দেওয়ার পর আপনাকে সাবমিট বাটন ক্লিক করতে হবে।
- এরপর আপনাকে আপনার বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানার তথ্য দিয়ে আপনার মোবাইল নম্বরটি দিতে হবে।
- এরপর আপনার মোবাইল নম্বরটিতে একটি ছয় সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড আসবে।
- এরপর NID ওয়ালেট নামে এটি অ্যাপ নামাতে হবে এবং সেই অ্যাপের ফেস ভেরিফিকেশন হবে।
এই তথ্যগুলো দিলে আপনি শেষ পর্যন্ত আপনার আইডি কার্ডটি বের করতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড বের করা ছাড়াও ভোটার আইডি কার্ডে কোন তথ্য সমস্যা হলে বা ভুল থাকলে আপনি সেটা সংশোধন করে নিতে পারবেন। আর এটাই অনলাইনের মাধ্যমে আইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র তোলার পদ্ধতি।
ভোটার আইডি কার্ড বা NID কার্ড এর পরিচিতি
মোবাইল দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার পদ্ধতি আমরা জানলাম। আরো কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে নিচে আলোচনা করব। কিন্তু এর আগে আমাদের ব্যাপারে ধারণা থাকা উচিত যে জাতীয় পরিচয় পত্র কি। জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধান বিষয়ে আমরা এত অবগত কেন।
মূলত জাতীয় পরিচয় পত্র হচ্ছে বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে একটি ছোট নথি। ছোট হলেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশ সরকার ব্যক্তির বয়স ১৮ হলে এটা বাধ্যতামূলকভাবে তৈরি করার জন্য আদেশ দিয়েছেন। বাধ্যতামূলক নথি বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের নাম বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।
এবং ২০১৬ সালের পূর্বে যেহেতু আয় বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশন ছিল না তাই তখন মাতার নাম জন্মতারিখ ও আইডি কার্ডের নাম্বার দিয়ে পরিচয় আইডেন্টিফিকেশন করা হতো।
বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশন এর পর জাতীয় পরিচয় পত্রকে স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র বানানো হয়। এটা ২০১৬ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু হয়।মূলত স্মার্ট কার্ডটিতে একটি সার্কিট চিপ রয়েছে। এই চিপ টি স্ক্যান করলে আপনার ওই নাগরিকের সব তথ্য সামনে চলে আসবে।
স্মার্ট কার্ডের সুবিধা সমূহ নিচে আলোচনা করা হলোঃ
- স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে নাগরিক অধিকার এবং সুবিধা পাওয়া যায়।
- চেঞ্জ করার জন্য বা মোটরযান রেজিস্ট্রেশন করার জন্য স্মার্ট কার্ড খুবই দ্রুত কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
- পাসপোর্ট তৈরি করতেও স্মার্ট কার্ডের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
- জমি ক্রয় বিক্রয়ের জন্য ভূমিকা অনেক।
- ব্যাংক ঋণ নিতেও কার্ড প্রয়োজন তাছাড়া হিসাব নিকাশ ধরনের ডকুমেন্টের সাথে আইডি কার্ড এর কপি দেখানো লাগে।
- মোবাইল সিম পেতে nid card লাগে। পরবর্তীতে এনআইডি কার্ড হারিয়ে গেলে সিম নাম্বার দিয়ে এনআইডি কার্ড তোলা যায়।
- চাকরি আবেদন বা চাকরির শেষে ও সরকারি অনুদান বা ভাতা পেতে এনআইডি কার্ডের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
আমাদের প্রত্যহিক জীবনে কোন আবেদন বা প্রয়োজনে এনআইডি কার্ড ছাড়া একদমই চলা যায় না। যেহেতু আমাদের সব ধরনের কাজকর্মেই এর আইডি কার্ডের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিচ্ছে তাই আর যদি হারিয়ে যাই তবে সেটা আমাদের জন্য খুবই বিপদজনক। তাই ২০২৪ সালে মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের অবগত থাকা জরুরী।
সরাসরি বাংলালিংক নাম্বার থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করার উপায়
মোবাইল দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার জন্য বাংলালিংক নিয়ে এসেছে একটি সহজ সমাধান। বাংলালিংক নাম্বার থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র সরাসরি বের করা যায় না কিন্তু আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বারটি সংগ্রহ করতে পারবেন। আর এই নাম্বারটি সংগ্রহ করো আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র টি তুলতে পারবেন।
অনেক সময় যাতে পরিচয়পত্রটি আপনার কাছে না থাকলে বা হারিয়ে গেলে নাম্বারটা প্রয়োজন হলে আপনি কম সময়ের মধ্যে পাঁচ মিনিটেই এই প্রসেসে পরিচয় পত্রের নাম্বারটি পেয়ে যাবেন। নিচে এ পদ্ধতিটা ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হলো।
- প্রথমে আপনার মোবাইলে *1600# লিখে ডায়াল করতে হবে।
- এই সংখ্যাটি আপনার বাংলালিংক সিমের মাধ্যমে ডায়াল করুন।
- একটু অপেক্ষার পরেই আপনি আপনার স্কিনের দুইটি নম্বর দেখতে পারবেন। দুইটি নম্বরের মধ্যে দুই নম্বর অপশনে থাকবে 'Status Against Your NID'। আর এটি আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে। মানে আপনি দুই লিখে আবার সেন্ট বাটন ক্লিক করবেন।
- এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই বাংলালিংক সিম আপনাকে একটি মেসেজ পাঠাবে।
- এবং এই মেসেজের মাধ্যমে আপনি দেখতে পারবেন যে আপনার এই সিমটি যে পরিচয়পত্রের নাম্বার দিয়ে রেজিস্টার করা সেই নাম্বারটি চলে এসেছে।
অতএব এর মাধ্যমে আপনি আপনার খুব দরকারি কম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় এই ধাপগুলো অবলম্বন করে খুব সহজেই ভোটার আইডি কার্ড এর নাম্বারটি পেয়ে যাবেন।
মোবাইল দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বিষয়ে কিছু প্রশ্ন
নির্বাচন অফিসে গিয়ে মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ
মোবাইল দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার যে উপায় আমরা দেখতে পেয়েছি এর মধ্যে সবচেয়ে সহজ আরো একটি উপায় রয়েছে। আর সেটা হচ্ছে নির্বাচন অফিসে গিয়ে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ।
মূলত নির্বাচন অফিসে যখন ভোটার আইডি কার্ড রেজিস্টার করা হয় তখন একটি মোবাইল নম্বর দিতে হয়। এই মোবাইল নম্বরটি যদি নির্বাচন অফিসের লোক আপনার তথ্যের ভেতর সংযুক্ত করে। এবং পরবর্তীতে যদি আপনি আপনার এই ফোন নম্বরটি প্রয়োজনে খুঁজতে আসেন তবে অবশ্যই আপনি আপনার ফোন নম্বরটি পাবেন।
ফোন নম্বরটি পেলে আপনি এই ফোন নম্বরটির মাধ্যমেও ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার সংগ্রহ করতে পারবেন। আর এই ক্ষেত্রে এই মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র সংগ্রহ করা ৫ মিনিটের কাজ।
কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় নিবন্ধন ফরমে আপনার ফোন নাম্বারটি নির্বাচন অফিসে দায়িত্বগত লোকেরা লিখে রাখেন না। যার কারণে তখন অফিসে গেলে আপনাকে নানা অজুহাতে তথ্য সম্পর্কে অবগত করা হয় না।
ফরম নাম্বার দিয়ে আইডি বের করার নিয়ম
মোবাইল দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার উপায় গুলোর মধ্যে আরো একটি সহজ উপায় ফর্ম নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করা। মূলত এটা যারা বর্তমানে ভোটার হচ্ছেন তাদের জন্য প্রযোজ্য।
- ফর্ম নাম্বারটি নতুন ভোটারদের ভোটার হওয়ার জন্য সব তথ্য হালনাগাদ করার পর ফর্মের নিচের একটি অংশ ছিরে দেওয়া হয়। এই অংশটিতে মূলত এটি নাম্বার থাকে। যেটি ফরম নাম্বার বলে বিবেচিত।
- ফর্ম নাম্বারে স্লিপটি যদি আপনার কাছে থাকে তবে আপনি খুব সহজেই অফিসে গিয়ে ফর্মটি জমা দিয়ে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বারটি চেক করতে পারবেন এবং কার্ডটি তুলতে পারবেন।
- অথবা ফর্ম নাম্বার দিয়ে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ও বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে ফরম পূরণ করে আপনার আইডি কার্ডটি তুলতে পারবেন।
- ফাইলটি অবশ্যই ডাউনলোড করে রাখবেন। কারণ এটি যদি হারিয়ে যায় তবে পরবর্তীতে আপনার আবারো এই কার্ডটি ডাউনলোড করা বা খুঁজে পাওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। অনলাইনে আবারো নতুন করে pdf ফাইল এর জন্য আবেদন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে ফি জমা দিতে হবে ২৩০ টাকা।
ভোটার আইডি নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করার উপায়
মোবাইল দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে আমরা জানলাম। এখন ভোটার আইডি নম্বর দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করার উপায় আলোচনা করব। ভোটার আইডি নম্বর দিয়ে সরাসরি কখনোই ভোটার আইডি কার্ড বের করা যায় না। কিন্তু প্রয়োজনে কোন কারনে ভোটার আইডি কার্ড কাছে না থাকলে ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর দেখিয়ে আপনি বিভিন্ন রকম কাজ চালাতে পারবেন।
এক্ষেত্রে অনলাইনের সাহায্যে আপনি এই প্রসেস টি সম্পন্ন করতে পারবেন। ভোটার আইডি কার্ডের নম্বরটি আপনার জানা থাকলে পরবর্তীতে ভোটার আইডি কার্ডটি যে নাম্বার দিয়ে রেজিস্টার করা হয়েছে সেই নাম্বারটি পেয়ে যাবেন। এবং এই নাম্বার দিয়ে পরে আপনি নতুন করে ভোটার আইডি কার্ড তুলতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড বিষয়ক কিছু প্রশ্ন
মোবাইল দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার বিষয়ে লেখক এর মন্তব্য
মোবাইল দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার বিষয়ে আমরা অনেক ধরনের ধারণা পেলাম। আমরা এখান থেকে আরও বুঝতে পারলাম যে শুধু মোবাইল নম্বর হলেই ভোটার আইডি কার্ড বের করা যায় না। এর সাথে আরো কিছু তথ্য যেমন আপনার জন্ম তারিখ ঠিকানা বা নিবন্ধন ফরম এর নাম্বার এসব দিয়ে আপনার ভোটার আইডি কার্ড বের করতে হবে।
আর এগুলোই ছিল মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করার বিভিন্ন উপায়। আমরা অনেকেই আবেদন পত্র নাম্বার হারিয়ে ফেলি অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে যায়। এই সময় চিন্তা না করে যদি আমরা ঠান্ডা মাথায় আমাদের হাতের কাছে মোবাইল নাম্বার দিয়েই নতুন আইডি কার্ড চেক করতে পারি ৫ মিনিটের মধ্যেই। তবে আমাদের চিন্তা করার কোন প্রয়োজন পড়ে না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url